স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, দেশে অবাধে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কেন ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন?
সামান্য জ্বর বা সর্দির জন্য অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন। এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের সমস্যা তৈরি করে, যা ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে:
- চিকিৎসকের পরামর্শ বাধ্যতামূলক: এই সিস্টেমে, কোনো ওষুধ কেনার আগে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকা বাধ্যতামূলক হবে।
- ওষুধের অপব্যবহার রোধ: ওষুধের অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত সেবন কমানো যাবে।
- ওষুধের যোগান ব্যবস্থাপনা: ওষুধের যোগান ব্যবস্থাকে আরও সুষ্ঠু করা যাবে।
- রোগীর তথ্য সুরক্ষিত: রোগীর ওষুধের ইতিহাস ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত থাকবে, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসায় সহায়ক হবে।
মন্ত্রীর আরও কিছু মন্তব্য
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আরও উল্লেখ করেছেন যে, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেছেন, “একজন দরিদ্র মানুষ রংপুর থেকে ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকা আসবেন, সেটা তো হয় না। আমি এমন প্রকল্প নিয়েই কাজ করব যেটা শেষ করতে পারবো।”
সামনের পথ
ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু হলে স্বাস্থ্য খাতে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তবে এই সিস্টেম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট এবং জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আপনার মতামত জানান
ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু হওয়ায় আপনি কতটা আশাবাদী? এই সিস্টেমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে কোন ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আপনি মনে করেন? আপনার মন্তব্য জানাতে নিচে কমেন্ট করুন।